সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমূহ:
বাংলাদেশকে জ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে (রূপকল্প-২০৪১) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়ন, ই-গভন্যান্স প্রতিষ্ঠায় সহায়তা, আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন ও মানব সম্পদ উন্নয়নের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এর অংশ হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তররের কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয় ও উপজেলা কার্যালয়ে কর্মরত সকল কর্মকর্তাগণ জেলার সকল সরকারি দপ্তরসহ সর্বস্তরের জনগণকে বিভিন্ন ধরণের তথ্য ও প্রযু্ক্তি নির্ভর সেবা, পরামর্শ ও টেকন্যিকেল সাপোর্ট প্রদানে করে যাচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১১০ এর অধিক সরকারি দপ্তরে ই-নথি কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং ২০০ এর অধিক দপ্তর জাতীয় তথ্য বাতায়নে সংযুক্ত আছে। আইসিটি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস ২০১৭, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৮,২০১৯,২০২০ জাতীয় ইন্টারনেট সপ্তাহ, জাতীয় উন্নয়ন মেলা- ২০১৮,২০১৯, ২০২০ প্রোগ্রামিং কনটেস্ট আয়োজন করা হয়েছে। “সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১টি ভাষা ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব সহ সর্বমোট ১০১ টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ এর ১৭৫ জন শিক্ষককে Basic ICT in Education Literacy, Troubleshooting and Maintenance প্রশিক্ষণ, ১৮০ জন শিক্ষার্থীকে আইসিটি বা প্রোগ্রামিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ, জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন ও ২২০ জন শিশু কিশোরকে প্রোগ্রামিং এর প্রশিক্ষণ এবং জেলা পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রায় ৬০০ জনকে ই-নথি প্রশিক্ষণ, ৫০ জনকে ডি-নথি প্রশিক্ষণ এবং প্রায় ৪০০ জনকে জাতীয় তথ্য বাতায়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি দপ্তরের ইন হাউস ট্রেনিং-এ ই-নথি বিষয়ক সেশনের মাধ্যমে প্রায় ১৫০ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। আইসিটি অধিদপ্তরে উদ্ভাবিত CAMS সফটওয়্যারের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেলায় ৭৮,০০০ উপকারভোগীদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুদান প্রদান করা হয়েছে এবং সুরক্ষা সফটওয়্যারের মাধ্যমে জেলায় ৮৫,০০০ জন নিবন্ধন পূর্বক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
কোভিড ১৯ এর ন্যায় যে কোন পরিস্থিতিতে সরকারী কার্যক্রম চলমান রাখার লক্ষ্যে সরকারী পর্যায়ে সকল অফিসে ই-নথি/ডি-নথি সহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে প্রদান।শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও স্কুল অফ ফিউচার স্থাপনে সহায়তা প্রদান।srdl মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এর মাধ্যমে স্থাপিত সকল ল্যাবগুলোকে কার্যকরী করা। ফ্রন্ট টিয়ার টেকনোলজি নিয়ে গবেষণা এবং তা কার্যকর সেবায় পরিনত করা। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজন।
২০২১-২২ অর্থবছরের সম্ভাব্য প্রধান অর্জনসমূহ:
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS